চারিদিকে উত্তাল মার্চের উত্তাপ ভরা লেলিহান
পুড়ে পুড়ে খাঁক হয়ে যায় হায়েনাদের আক্রোশের দাবানলে
রাত্রির শীতল কোলে এলিয়ে থাকা বাঙালীর নিথর দেহ কোনখানে
কোনখানে চিৎকার, হঠাৎ দিগ্বিদিক ছোটাছুটি
চারিদিকে হিংস্র হায়েনার মর্টার গর্জন,নিরস্ত্র বাঙালীর
ঝলসে উঠার প্রয়াস, বাঁশের লাটির সাথে
খুজে নেয়া হাতুড়ি, শাবল খুন্তি…
কানের কাছে সর্বোচ্চ মাত্রায় বেজে উঠা আওয়াজ-
‘তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাক
শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে,
রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো…’ ।
পিছু হটার কাধের পোটলাটা ফেলে দিয়ে ঘুরে দাড়ায় যুবক
শর্ষে ফুলের রঙ ছড়িয়ে গেলেও চোখে
হঠাৎ যেন রক্তকণাগুলো তুমুল বেগে উঠে আসে
সূর্যের মত জ্বলজ্বলিয়ে উঠা চোখের পাতার কাছে।
দামাল যুবক কী আছে মুল্য তোর
মায়ের ভিটেয় ঘু ঘু চড়িয়ে দিলে পিশাচের দল
খুবলে খেলে রক্তাক্ত থাবায়, সবুজ ধান ক্ষেতের আলে
উড়িয়ে আসা তোর অষ্টাদশি বোনে আঁচল
যুবক কী আছে মূল্য তোর– বিবেক দংশন করে বারংবার।
……
‘মা’ ‘মা’ আমি তোমার ভুমি সবুজে তুলে আনব
রক্তিম সূর্যের ভোর, আমি ছিনিয়ে আনব আমার
আদুরে বোনের নির্মল হাসির নির্মেঘ স্বাধীনতা
মা মা আমি গেলাম ‘মা’
আমি স্বাধীনতা আনতে গেলাম।
জয় বাংলার লোক
আমি বাংলার লোক, দেখিয়াছি বাংলার মূখ। বাংলাকে ভালবেসে জয়-বাংলা বলে- পাতিয়া দিয়েছিল