সে আসবেই
তাকে আসতেই হবে।
আসাটা যে প্রলাপ নয়,
বাক্যালাপ নয়,অবধারিত,
এ যে অলিখিত নিবন্ধিত।
এ যে সময়ের অঘোর দাবী,
তাকে আটকানোর সাধ্য কারো নাই,
সে যে নিজ বলে বলিয়ান
সঠিক সময়ে ঠিকই হবে আগুয়ান।
আমি নিশ্চিত সে আসবেই
নইলে যে পস্তাবে ধরিত্রীবাসী
তাকে ভালবাসি,ভালবাসি,
হৃদয়ের চেয়েও বেশি বেশি।
না এলে কী কারণ কী কারণ,
আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে ক্রন্দন রোদন।
নয় অকারণ,কারণবিনা হয় না কারণ
তার না আসাটা যে পাপ,সে তো বারণ।
এ হেন মন রোদন থামাতে
আসতে তাকে হবেই
তার আসাটা যে খুবই জরুরী।
নচেৎ আজ না হয় কাল
হিমালয় হতে বঙ্গোবসাগর
ভিন্ন ভিন্ন মন অভিন্ন হয়ে
সহসা করিবে আহাজারী।
মাতম চলিবে,দুহাতে বক্ষ চাপড়াবে
গহীন দুঃখে বক্ষ ফাটিবে
চক্ষু দিয়া রক্ত অশ্রু গড়ায়ে পড়িবে
হায়!হায়!প্রাণ বুঝি যায় যায়।
তবু মাতম নাহি থামিবে,
এ মাতম ধরিত্রী সইবে না,
তাই তাকে আসতেই হবে।
তার না আসাটাকে
অদৃষ্টের লিখন বলিয়া
মানিয়া লওয়াও সম্ভবপর নয়।
তাই তাকে আসতেই হবে
না আসলে যে সময়ের হবে পরাজয়।
সব কিছুকে তুচ্ছ প্রমাণ করতে
আজ না হয় কাল এ ধরায়
তাকে আসতেই হবে।
ঝরা পাতার পূর্বাশ তাই বলছে,
শূণ্য না হলে কলসি যেমনি পূর্ণ হয় না,
তেমনি বৃক্ষের পাতা না ঝরিলে
নতুন পাতা আসে না।
সে আসবে তাকে আসতেই হবে,
বৃক্ষে বৃক্ষে ফোঁটবে কলি,
ফুলে-ফুলে বসবে কীটপতঙ্গ
আবার প্রেম হবে,কানে-কানে গুঞ্জন রটিবে
অবগাহন হবে,পরাগায়ন হবে ধরিবে ফল।
তা ভক্ষন করিতে বা বিলিয়ে দিতে
তাকে আসতেই হবে।
নইলে জীববৈচিত্রের অমঙ্গল হবে
তাই হৃদয়কে শান্ত করতে ভবে
তাকে আসতেই হবে।
—শতদল সরকার