খেলারাম
……শতদল সরকার।
নিয়মহীনতার নিয়মে
চলছে জীবন অবিরাম।
সুশোভিত আসনে বসে
খেলে যাচ্ছে খেলারাম।
গণতান্ত্রিক স্বেচ্চাচারিতায়
দুষ্টলোকেরা বসে আছে
শাসনতন্ত্রের যথায়-তথায়।
ফুলে-ফেঁপে ওঠার নেশায়
কভূ তাদের নাই বিশ্রাম।
কে শোনে কার কথা?
কে বুঝে কার ব্যথা?
মরছে মানুষ,নাই হুশ,
অবকাঠামোর দেয় দোষ।
দ্বায়িত্বে থেকে দায়হীন কথা-বার্তা,
নাই কোন ব্যর্থতা কর্তার মুখে শুনি
শুধু অমুক-তমুক উন্নয়নের বারতা।
ফ্যাল-ফ্যাল চোখে পথ চলি
নিরলস অপলক সতর্কতায়।
কি জানি কখন কি যে ঘটে যায়!
এ হেন ভয়ে দিন-রাত্রি কেটে যায়।
দেখেও কেউ যেন দেখে না,
শোনেও কেউ যেন শোনে না।
আজ কোথাও কেউ নাই
চারদিকে আঁধার অমানিষা
অদ্ভুত এক পাষাণপুরী,
ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে
স্বজনদের মৃত লাশের সারি।
গভীর রাত চারদিক নিস্তব্ধ
থেমে-থেমে ক্ষুধার্ত কুকুরের
ঘেউ ঘেউ বিরস শব্দ,
আর শকুনীদের ব্যবচ্ছেদ
প্রাণে বাজে স্বজনের বিচ্ছেদ।
আহাজারি-বুক ফাঁটা ক্রন্দনে
আকাশ-বাতাস হয় ভারি
পাশে অপেক্ষমান লাশের সারি।
দ্যুলোক-ভ্যু-লোক ছাড়িয়া
আত্মা চলে গেছে পরমাত্মায়
আকাশ-পাতাল ছাড়িয়া।
দেহ সৎকারের নিমিত্তে থাকা
বিশ্রি গন্ধের রঙিন বোতলে
তাক্ ধুম্ ধুম্ গগণতলে
অনলের দ্বীপ শিখা জ্বলে।
মাঝে মাঝে দেয় চুমুক,
নাই বিশ্রাম চলছে চলুক,
কঠিন শরীর দুলছে দুলুক।
ক্লান্ত শরীর বিনিদ্র রাত
দাঁড়কাকের কর্কশ ডাক।
ঘুমহীন চোখ অবশেষে
আবার ফিরে অবসন্ন প্রভাত।
বিরস বদনে আবারও পথ চলা
কখনো ফিরে কখনো ফিরে না।
অনাদরে হেলায় অবহেলায়
কেটে যায় তার জীবনবেলা।